Poem in October Bangla Summary

ডিলন থমাস ১৯১৪ সালের ২৭ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কবি ডিলান থমাস এর কবিতাটি মূলত শৈশবের স্মৃতি নিয়ে। তার কবিতার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো তিনি শৈশবের স্মৃতি সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন। আলােচ্য কবিতাটি জন্মদিনে রচিত। এক কথায় বলতে গেলে তার ৩০ তম জন্মদিনকে উৎসর্গ করে কবিতাটি লিখেছেন। কবিতাটি “Death and Entrance” খণ্ড থেকে চয়ন করা হয়েছে, যেখানে কবি বিশ্বযুদ্ধের পরে একঘেয়ে জীবন, হতাশ শহুরে জীবনের বিপরীতে তাঁর শৈশবের একটি দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন। কবিতাটি গ্রামের জীবন এবং নগর জীবনের তুলনা এবং বিপরীত চিত্র বর্ণনা করে যা আমাদের সময়ের পশ্চাৎপদ এবং অগ্রগতির চিত্র দেখায়। কবিতাটির সাতটা স্তবক রয়েছে। প্রতিটা স্তবকে ১০ টি করে লাইন রয়েছে।

Poem in October Bangla Summary

কবিতার শুরুতেই কবি বলেছেন, জীবন স্বর্গের দিকে একটি যাত্রা এবং আজ তিনি স্বর্গের তীর্থযাত্রায় ত্রিশ বছর পার করেছেন। পরক্ষণেই কবি তার জন্মদিন উদযাপনের দিকে মনোনিবেশ করেন। কবি বলেন তিনি হার্বার বন্দর, পার্শ্ববর্তী বন এবং সমূদ্রতীরের পানি ও সারস পাখির আওয়াজ শুনে ঘুম থেকে উঠেন। খুব সকালে তিনি লফার্নে (laugharene) ত্যাগ করে হার্বার বন্দরের দিকে বেড়াতে বের হন এবং সুন্দর সব প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করেছেন। তিনি অবলোকন করেছেন যে সারসপাখি (heron) পুরোহিতে রূপান্তরিত হয়ে তাঁর জন্য প্রার্থনা করছে এবং সমদ্র জলও তার জন্য প্রার্থনা করছে। পাখিরা তার নাম নিয়ে ফার্ম ও ঘোড়ার উপর দিয়ে উড়ছিল। এভাবে নদ-নদী, সাগর, গাছপালা, সারস পাখি, শঙ্খ চিল সবাই যেন কবির জন্মদিন সম্পর্কে পূর্বে থেকেই অবহিত। তাই তারাও কবির জন্মদিন পালন করছে।

কবি লাফার্নের সমুদ্রতীর ধরে হাঁটছেন, তখন শরতের ঝরঝরে বৃষ্টি হচ্ছিল এবং গ্রামবাসি ঘুমাচ্ছিল। কবি কল্পনা করেছিলেন যে এটি (সম্ভবত ৩০তম জন্মদিন) তাঁর জীবনের উচ্চ জোয়ার কারণ ত্রিশ বছরের বয়স তার জীবনে পরিপক্ক হওয়ার উচ্চ সময়। এমতাবস্থায় সারস পাখিটি যখন সমুদ্রে ডুব দিয়েছিল, কবি তখন তাঁর শৈশবকালের স্বপ্নের জগতে ডুব দেন। লাফার্নের শহর যখন জেগে উঠল, কবি তখন বাস্তবতার সীমানা পেরিয়ে সোয়ানসির (swansea) ফার্ন হিলের উপরে উঠে গেলেন, যেখানে তিনি তার শৈশবের দিনগুলো তার খালার খামারে কাটিয়েছেন। তখন কবির কাছে শরত ঋতুটি গ্রীষ্ম এবং বসন্তে পরিবর্তিত হয়। কবি শরত্কালে গ্রীষ্মের আবহাওয়া এবং হাজার হাজার লার্ক পাখি ফার্ন হিলের উপরে নীল আকাশে উড়ে বেড়ায়, এসব অনুভব করেন।

এখন কবির শিশুকালটি লাফার্নে শহরের নীচের দিকে তাকিয়ে আছে, যেখানে শরত্কালে ঠান্ডা বৃষ্টি পড়ছিল। শরৎ কালের ঠান্ডা বৃষ্টিতে বন, বন্দর (harbour), সমুদ্র এবং গির্জা ভিজে গিয়েছিল। গির্জাটি শামুকের (snail) মতো দেখতে এবং তার (গির্জা) শিংগু্লো পেঁচার মতো বাদামী রঙের। তবে ফার্ন হিলে, সুন্দর জলবায়ু সব সময় বিদ্যমান। এখানে সবসময় বসন্ত এবং গ্রীষ্ম ঋতু থাকে। তাঁর মন চোখে সমস্ত ঋতু একে অপরের সাথে মিলিত এবং অতীত এবং বর্তমান দৃশ্যও একত্রিত। তাঁর ত্রিশতম জন্মদিনে কবি আবারো ফার্নের ছোট ছেলে হয়ে যান।অর্থাৎ জীবনের ৩০ বছর পেরিয়েও কবি অবিকল শৈশবের দিনগুলো ধরে রেখেছেন তার স্মৃতিতে। 

পাহাড়-পর্বত প্রকৃতির সাথে খেলে এবং আপেল, নাশপাতি (pears) এবং লাল কিশমিশ (currants) হলো তার বন্ধু। যখন তিনি তার মায়ের সাথে সূর্যের আলো উপভোগ করে হাঁটত, তিনি সেইসব দিনগুলোর কথাও মনে করেন। তা ছিল বাইবেলের নীতিগর্ভ উপমা (parables) উপভোগ করার মতো। তিনি যখন মায়ের সাথে প্রকৃতির নিরব সৌন্দর্য উপভোগ করে বনের পাশ দিয়ে হাঁটছিলেন, তখন এটি সাধুদের জীবন পড়ার মতো ছিল এবং সূর্যের আলো তাকে ইশ্বরের গৌরব শিখিয়েছিল। বনের পাশ দিয়ে হাঁটা, গির্জার প্রার্থনার মত ছিল। এইভাবে কবি শিখেছেন যে প্রকৃতি হলো ইশ্বরের গৌরব ও সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি। তিনি এই সত্যটি প্রথমে শৈশবকালে শিখেছিলেন এবং এখন তার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে শিখলেন।

কবি তাঁর শৈশবকে ইঙ্গিত করে বলেন যা আর নেই। কবি এখন খুব দুঃখিত যে তাঁর শৈশবের দিনগুলো চিরকাল চলে গেছে এবং সেই দিনগুলো কখনই তাঁর কাছে ফিরে আসবে না। তার চোখের জল গাল দিয়ে বয়ে (rolled) যায়। সেই দিনগুলো ছিল তাঁর জীবনের গৌরবময় দিন, যেখানে তিনি তার চাচীর খামারের আপেল শহর এবং মালবাহী গাড়িতে (wagons) রাজপুত্র ছিলেন। এছাড়া তিনি নদীর পাড় ধরে তাঁর মাকে নিয়ে হাটতেন। গাছ ও পাখির সাথে কথা বলতেন এবং সমদ্রের নুড়ি পাথর এবং তরঙ্গের সাথে খেলতেন।

অতীত এবং বর্তমান এখানে মিলিত হয়েছে যা কবিতার সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে। চুখের অশ্রু কবির গাল পুড়িয়ে দেয় এবং তাঁর হৃদয় কবির সাথে মিশে যায়। এভাবে কবি ত্রিশতম বয়সেও নিজেকে শৈশবের দিনগুলোর সাথে পরিচয় দেন।তার সরল শিশুসুলভ মন এখনও বদলায় নি। সে কারণেই কবি এখনও প্রকৃতির সৌন্দর্য ও গৌরব উপভোগ করতে পারেন।

এভাবে কবি তার শৈশবের সবগুলো দৃশ্যকে প্রাণবন্ত করে বর্ণনা করেছেন এবং বর্তমানের জরাক্রান্ত জীবনের ক্লান্তিলগ্নে তিনি শৈশবের সেইসব স্মৃতি বয়ে নিয়ে যেতে চান। বর্তমান জীবন ধারা তার কাছে অর্থহীন। তার কাছে শৈশবই মুখ্য বিষয় এবং শৈশবের স্মৃতিচারণ করে তিনি এখন বাকি জীবন অতিবাহিত করতে চান।

 

 
 
লিখনে  :  Tanvir Ahmed, the admin of this blog.
 
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

সামারি বা আর্টিকেলটি পড়ে কেমন লাগলো, তা কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই জানাতে পারেন। এতে করে আমি উতসাহ পাবো।

 
 
Poem in October - Summary in Bangla - bangla summary

 

 
 

12 thoughts on “Poem in October Bangla Summary”

    1. Habibur Rahman Habib

      আলহামদুলিল্লাহ ভালোই লাগল।
      বারবার পড়ার মতো একটি কবিতা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!