The Caretaker – Summary in Bangla

The Caretaker – Summary in Bangla (বাংলা সামারি) :

দ্যা কেয়ারটেকার নাটকটি রচনা করে Harold Pinter – হ্যারল্ড পিনশার। এই নাটকের তিনটি অংক রয়েছে। যদিও মঞ্চ ও টেলিভিশনের জন্য এটি তাঁর প্রধান কাজগুলির মধ্যে ষষ্ঠতম ছিল, তবে দুই ভাই এবং একজন ভবঘুরে (tramp) এর মধ্যে ক্ষমতার সংমিশ্রণতা, আনুগত্য, নির্দোষতা এবং দুর্নীতির এই মনস্তাত্ত্বিক অধ্যয়ন, পিন্টারের প্রথম উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক সাফল্য হয়ে ওঠে।

The Caretaker Summary in Bangla - Bangla Summary


The Caretaker Summary in Bangla

সময় টা ছিল ১৯৫০ সালের শীতকাল। লন্ডন শহরে এস্টন (Aston) ও মিক (Mick) নামে দুই ভাইয়ের একটা অগোছালো অ্যাপার্টমেন্ট (বাসা) ছিল। নাটকের শুরু এই অ্যাপার্টমেন্টের একটা রুম থেকে। মিক তার রুমে শুয়ে আছে। এমন সময়ে তার বড় ভাই এস্টন বাসায় আসে। এস্টনের সাথে আসে ডেভিস নামের একটা লোক। এস্টন একটা ক্যাফে থেকে ডেভিসকে নিয়ে এসেছে, যেখানে ডেভিস একজনের সাথে মারামারি করছিলো। সেখান থেকে উদ্ধার করে এস্টন ডেভিসকে তার নিজের বাসায় নিয়ে আসে। এস্টন ডেভিসকে প্রয়োজনীয় জিনিস (কাপড় ও জুতা) আর থাকার জায়গা দেয়।

ডেভিস (Davies) ছিল অভদ্র ও একগুয়ে (stubborn) স্বভাবের, যেখানে এস্টন ছিল তার তুলনায় কিছুটা চাপা ও নিশ্চুপ স্বভাবের। দেখা যায় যে, ডেভিস উচ্চস্বরে কথা বলে এবং কালো ও অন্য জাতের মানুষদের ব্যাপারে অভিযোগ করে। অন্যদিকে এস্টন অনেক কম কথা বলে এবং সে থেমে থেমে কথা বলে। যাইহোক, সহানুভূতিশীল হয়ে এস্টন ডেভিসকে রাতে থাকতে বললো এবং ডেভিস তার প্রস্তাব গ্রহন করলো। ডেভিস বললো সে সিডকাপে (Sidcup) যাবে তার পরিচয় পত্র আনতে। পরের দিন সকালে এস্টন ডেভিসকে বললো যে, ডেভিস রাতে ঘুমের মধ্যে অনেক শব্দ করে নাক ডাকে। কিন্তু ডেভিস বললো, না, সে কখনোই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকায় না। তারপর এস্টন বাইরে গেলো এবং ডেভিসকে বলে গেলো যে সে চাইলে আজও থাকতে পারে তার বাসায়। ডেভিস জানায় তাকে এখন কাজ খুজতে হবে।

এস্টন বাইরে যাবার পর, ডেভিস এস্টনের রুমের জিনিস পত্রের মধ্যে কিছু খোজাখুজি করছিল। এমন সময়, মিক রুমে ডুকলো এবং সে ডেভিসকে দেখলো। ডেভিস রুমে কি খুজছিল, তার পরিকল্পনা কি আর কেনই বা এই বাসায় এসেছে, মিক এসব জানতে চাওয়ায়, এই নিয়ে মিক আর ডেভিসের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও ছোটখাটো মারামারি হলো। এরপর মিক ডেভিসকে বিভিন্ন প্রশ্ন করা শুরু করে। তার নাম কি, বাসা কোথায়, কি কি কাজ পারে- এরকম আরো প্রশ্ন। শেষে মিক বলে যে ডেভিস চাইলে এই রুম টা ভাড়া নিতে পারে। এরমধ্যে এস্টন ডেভিসের কিছু কাগজপত্র নিয়ে বাসায় ফিরে আসে। পরে জানা গেল এটা ডেভিসের না। ফলে সে খুভ বিরক্ত হল।

এস্টন আর মিকের অ্যাপার্টমেন্ট টা জীর্ণ শীর্ণ ও অগোছালো। মিকের ইচ্ছে ছিলো, তাদের এই অ্যাপার্টমেন্ট টাকে অনেক সুসজ্জিত করবে। ভাইয়ের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য, এস্টন ডেভিসকে তার বাসায় কেয়ারটেকার হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়, যাতে সে তার বাসা টাকে সাজিয়ে গুছিয়ে দেয়। ডেভিস প্রথমে একটু চিন্তিত হলো এই ভেবে যে সে কাজটা নিবে কি না। কারন তার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই কেয়ারটেকার এর কাজের। নিজের থাকার জায়গা না থাকায়, ডেভিস কাজটা নিতে রাজি হলো। মিক কাউকে ভয় দেখাতে মজা পায়। সেদিন রাতে অন্ধকারে মিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ডেভিস কে ভয় দেখায়। পরেরদিন মিকও ডেভিসকে প্রস্তাব দেয় এই বাসার কেয়ারটেকার হওয়ার। এস্টন যে আগেই ডেভিসকে এই প্রস্তাবটা দিয়েছে, তা মিক জানে না। যার ফলে ডেভিস দ্বিধায় পড়ে যে আসলে প্রকৃত মালিক কে।

তাই এবার ডেভিস মিক কে প্রশ্ন করে, এই বাসার প্রকৃত মালিক কে। এটা শুনে মিক কিছুটা রেগে যায় এবং প্রতারণা করে বলে সেই এই জায়গার মালিক। মিক এবার ডেভিসের কাগজপত্র দেখতে চাইলে ডেভিস বলে সিডকাপে গিয়ে সে তার কাগজপত্র নিয়ে আসবে। মিক ডেভিসকে বলে, সে তো সিডকাপে যেতে চেয়েছিলো পরিচয় পত্র আনতে, এখনো কেনো যায় নি। ডেভিস বললো, সে পরের দিন যাবে। কিন্তু পরেরদিন ডেভিস গড়িমসি করছিলো সিডকাপে যাওয়ার জন্য। আবহাওয়া ভালো না, এই অজুহাতে সে সিডকাপে না যাওয়ায় কথা বললো। এরপর এস্টন আসে এবং সে ডেভিসকে বলে, তার একটা সময়ে হ্যালুসিনেশন (Hallucination) হতো। তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো এবং চিকিৎসার জন্য তাকে ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়েছিলো। ফলে সে দ্রুত চিন্তা করতে পারে না এবং সে অনেকটা একাকী, সমাজ থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এসব কথা এস্টন ডেভিসের কাছে শেয়ার করলো।

এরপর দুই সপ্তাহ কেটে যায়, ডেভিস মিকের কাছে এস্টনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করে। ডেভিস বলে যে এস্টন তাকে কাজ করার সব জিনিসপত্র দিচ্ছে না। ডেভিস আরো বলে যে, এস্টন তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বলে নাক না ডাকাতে। ফলে ডেভিস ফেটে পড়ে এবং এস্টনের ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে চিকিৎসা করার বিষয়টা নিয়ে উপহাস করে এবং এস্টন কে পাগল বলে উপহাস করে। তাই এস্টন ডেভিসকে কেয়ারটেকারের কাজ থেকে বরখাস্ত করে। ডেভিস এস্টন কে অভিশাপ দেয় এবং মিকের সাথে এই ব্যাপারে কথা বলতে যায়।

মিক ডেভিসের কথা গুলো শোনার পর ডেভিসকে বলে, তুমি তো এ কদিন কিছুই করোনি, অ্যাপার্টমেন্ট টাও সাজাওনি। তুমি তো কেয়ারটেকার এর কাজ পারো না। এক পর্যায়ে ডেভিস এস্টনকে পাগল বলায় মিক তাকে চলে যেতে বলে। তারপর মিক ডেভিসকে কিছু টাকা দেয় এই কদিন কেয়ারটেকার এর দ্বায়িত্ব পালন করার জন্য। ডেভিস এবার এস্টনের কাছে ক্ষমা চায়, অনুরোধ করে তাকে কাজ থেকে বের করে না দিতে। ডেভিস প্রমিজ করে, সে আর ঘুমের মধ্যে শব্দ করে নাক ডাকবে না, ভালো ভাবে সব কাজ করবে। কিন্তু এস্টন তার অনুরোধ রাখে না। শেষে দুই ভাই একসাথে মিলিত হয় এবং ডেভিসকে চলে যেতে বলে এবং এখানেই নাটকের শেষ।

এই নাটকে দুই ভাইয়ের মধ্যে তেমন কথোপকথন দেখা যায় না। তাদের মধ্যে যোগাযোগের অভাব দেখা যায়। তবে দুই ভাইয়ের মধ্যে মমতা টা বিদ্যমান ছিলো। দুই ভাই একে অপরের ভালো চাইতো। কিন্তু ডেভিস চাইতো তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে আরো দুরত্ব সৃষ্টি করতে। তাই সে এক ভাইয়ের দোষ অন্য ভাইয়ের কাছে বলতো। এটাই ছিল ডেভিসের বড় ভুল।



The Caretaker Characters in bangla


Aston : এস্টন মিকের বড় ভাই এস্টন। এস্টনের বয়স প্রায় ত্রিশ। তিনি সহানুভূতিশীল ও স্বল্পভাষী।
Mick : মিক এস্টনের ছোট ভাই মিক। মিকের বয়স বিশ এর কিছু বেশি।
Davies : ভেভিস একজন ভবঘুরে, অভদ্র ও একগুয়ে স্বভাবের। তার বয়স প্রায় ষাট। সে একটা ক্যাফে তে কাজ করে।

★★★Major Themes of the play :

Loneliness and isolation
Lack of communication
Violence and menace

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!