The Hairy Ape – Summary in Bangla – Bangla Summary – Characters :
The Hairy Ape ১৯২২ সালে প্রকাশিত আমেরিকান নাট্যকার ইউজিন ও’নীল এর (Eugene O’Neill) লেখা একটি এক্সপ্রেসনিস্ট প্লে (Expressionist Play). নাটকটিতে ইয়াঙ্ক (Yank) নামের একজন শক্তিশালী সমুদ্র জাহাজ শ্রমিকের গল্প বলা হয়েছে। ইয়াঙ্ক তার জীবন নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতো না, কিন্তু একটা পর্যায়ে সে সমাজের উচ্চ বিত্তদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে এবং তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পৃথিবীতে নিজের অস্তিত্বের অর্থ খুঁজতে থাকে।
ইয়াঙ্ক একজন Fireman. ইয়াঙ্ক অনেক শক্তিশালী এবং বাকি শ্রমিকদের নেতা। নাটকের শুরুতে সে নিজের জীবন নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট ছিল এবং সহকর্মীদের ও জাহাজের ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণে নিজের সামর্থ্যের ওপর তার পূর্ণ আস্থা ছিল। কিন্তু একটা সময়ে সে মানষিক ভাবে ভেঙে পড়ে এবং অস্তিত্ব সংকটে ভুগতে থাকে। সে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সে আসলে কোন দলের অন্তর্ভুক্ত, সেটা সে বুঝে উঠতে পারে না। নাটকের শেষে একটা গরিলার হাতে মৃত্যু হয় ইয়াঙ্ক এর। The Hairy Ape নাটকটি মূলত ইয়াঙ্কের ওপর শিল্পায়ন এবং সামাজিক স্তরভেদের প্রভাবটা দেখিয়েছে। এই নাটকে মোট ৮ টি scene আছে–
The Hairy Ape Summary in Bangla
Scene 1 :
আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থানরত ১ ঘন্টা আগে নিউইয়র্ক থেকে ছেড়ে আসা একটি জাহাজের শ্রমিকদের থাকার স্থানে নাটকটি শুরু হয়। কাজের বিরতিতে ফায়ারম্যানরা গল্প করছে, বিয়ার খাচ্ছে এবং গান গাচ্ছে। ফায়ারম্যান (fireman) বলা হয় তাদেরকে, যারা সামুদ্রিক (বাষ্প চালিত) জাহাজের ইঞ্জিনে কয়লা দেওয়ার কাজ করে। এই শ্রমিকদের নেতা হিসেবে দেখা যায় ইয়াঙ্ক কে (Yank), যার নিজ দুনিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে নিজের শারীরিক ক্ষমতার ওপর পূর্ণ আস্থা ও আত্মবিশ্বাস আছে। লং (Long) এবং প্যাডি (Paddy) হলো ইয়াঙ্কের দুজন সহকর্মী। লং সমাজ তান্ত্রিক মনোভাবের একজন ইংরেজ আর প্যাডি একজন বৃদ্ধ আইরিশ। প্যাডিকে দেখা যায় সে আবেগ আপ্লুতভাবে পাল তোলা নৌকা চলাকালীন দিনের কথা স্মরণ করছে।
Scene 2 :
মিল্ড্রেড ডগলাস (যে একজন স্টিল ব্যবসায়ী শিল্পপতির কন্যা) তার আন্টির সাথে জাহাজের স্টোকহোল পরিদর্শন করতে এসেছে। মিল্ড্রেড ডগলাস (Mildred Douglas) তার আন্টির সাথে জাহাজের উপরে ডেকে সানবাথ করছে এবং কথা বলছে। মিল্ড্রেডের সমাজ সেবার কাজ করার ইচ্ছা নিয়ে তারা তর্ক করছে। তাদের তর্কের সমাপ্তি তখনই শেষ হয় যখন দুইজন অফিসার তাদের জাহাজের স্টোকহোলটি পরিদর্শন করার জন্য ডেকের নীচে নিয়ে আসেন। মিল্ড্রেডের আন্টি বুঝতে পারছেন না যে মিল্ড্রেড কেন দরিদ্রদের সাহায্য করতে চায় বা সমাজসেবা করতে চায়। আন্টির সাথে কথা শেষে মিল্ড্রেড ডেকের নীচে চলে যায় শ্রমিকদের কাজের জায়গা দেখতে।
Scene 3
স্টোকহোলে ইয়া়ঙ্ক এবং অন্যান্য ফায়ারম্যানরা গর্বের সাথে তাদের দৈনন্দিন কাজ করছে। মিল্ড্রেডকে আসতে দেখে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে দেয়, যার ফলে দুইজন ইঞ্জিনিয়ার তাদের কাজ চালিয়ে যেতে বলে। মিল্ড্রেড এসেছে ইয়াঙ্ক সেটা খেয়াল করেনি বরং সে ওই দুজন ইঞ্জিনিয়ারকে ধমকায় যারা তার শ্রমিকদের ইঞ্জিনে কয়লা দেওয়ার কাজ চালিয়ে যেতে বলেছিলো। শ্রমিকদের কাজ বন্ধের কারন বুঝতে না পেরে ইয়াঙ্ক পিছনে তাকায় এবং মিল্ড্রেডকে দেখতে পায়। ইয়াঙ্কে এরকম ময়লা ও রাগান্বিত অবস্থায় দেখে মিল্ড্রেড ভয় পায় এবং তাকে নোংরা জানোয়ার (Filthy beast) বলে আর অজ্ঞান হয়ে যায়। মিল্ড্রেডের মতে ইয়াঙ্ক দেখতে Hairy Ape (লোমওয়ালা উল্লুক) এর মতো।এটা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ইয়াঙ্ক।
Scene 4
ফায়ারম্যানদের থাকার জায়গায় এসে স্টোকহোলের ঘটনাটা নিয়ে ইয়াঙ্ক সোরগোল করছে। বাকিরা তার এই রাগের কারণ বুঝতে চেষ্টা করছে৷ তারা ইয়াঙ্কে জিজ্ঞেস করে সে প্রেমে পরেছে কিনা। এদিকে ইয়াঙ্ক রাগে টগবগ করে ফুটছে, মিল্ড্রেড তাকে নোংরা জানোয়ার বলেছে তাই। তাকে লোমওয়ালা উল্লুক (Hairy Ape) এর মত দেখতে মিল্ড্রেডের এই অপমানে ক্ষিপ্ত হয় ইয়াঙ্ক। রাগে প্রতিশোধ নিতে সে মিল্ড্রেডের কাছে যেতে চায় কিন্তু দরজা পর্যন্ত পৌছানোর আগেই অন্যরা তাকে ধরে এবং তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ইয়াঙ্কে তারা ধরে মেঝেতে ফেলে দেয়।
Scene 5
তিন সপ্তাহ পরে, জাহাজ আবার নিউইয়র্কে ফিরে এসেছে। ইয়াঙ্ক তার জাহাজের চাকরিটা ছেড়ে দেয়। ইয়াঙ্ক এবং লং নিউইয়র্কের ফিফথ এভিনিউয়ে যায়। তারা শহরের পরিচ্ছন্নতার প্রশংসা করে এবং কিভাবে উচ্চ সামাজিক পর্যায়ের মানুষদের আক্রমণ করবে সে বিষয়ে কথা বলতে থাকে। মিল্ড্রেডের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার ভাবনা এখনো পুরোপুরি ভাবে ইয়াঙ্কের মাথায় হাটু গেড়ে বসে আছে। ইয়াঙ্ক রাস্তায় কিছু মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে। এটা দেখে লং তাকে ছেড়ে ওখান থেকে চলে যায়। ইয়াঙ্ক একজন লোকের মুখে ঘুষি মারে যার ফলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
Scene 6
সেদির রাত থেকে ইয়াঙ্ক ব্লাকওয়েল দ্বীপের (Blackwell Island) জেলে ৩০ দিনের সাজা খাটতে শুরু করে। জেলটাকে ইয়াঙ্ক একটা চিড়িয়াখানার সাথে তুলনা করে এবং অন্য কয়েদিদের বলে কিভাবে সে বিত্তবানদের উপর প্রতিশোধ নিবে। কয়েদীদের একজন তাকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কারস অফ দ্যা ওয়াল্ড (IWW) নামের সংগঠনের কথা বলে এবং তাকে পরামর্শ দেয় এই সংগঠনে যোগ দেওয়ার। মিল্ড্রেড এবং তার বাবার কথা চিন্তা করে ইয়াঙ্ক জেলের বারগুলো ভাজ করে ফেলে এবং পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু জেলের গার্ডরা তাকে ধরে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
Scene 7
একমাস পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ইয়াঙ্ক স্থানীয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কারস অফ দি ওয়াল্ডের অফিসে যায় এবং তাদের দলে যোগ দেয়৷ স্থানীয় সদস্যরা প্রথমে তাকে পেয়ে খুশি হয়, কারণ তাদের সংগঠনে ফায়ারম্যানদের সংখ্যা অনেক কম৷ কিন্তু যখন সে মিল্ড্রেডের বাবার স্টিল ট্রাস্টেকে উড়িয়ে দেয়ার কথা বলে, তখন সংগঠনের সবাই তাকে সরকারি গোয়েন্দা ভাবে এবং দল থেকে বের করে দেয়। রাস্তায় একজন পুলিশের সাথে তার দেখা হয় কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করে চলে যেতে বলে৷ সে কোথায় যাবে, কিছুই বুঝতে পারছিলো না।
Scene 8
সেদিন বিকেলে ইয়াঙ্ক একটা চিড়িয়াখানায় যায়। সে একটা গরিলাকে দেখে ভাবে তারা দু’জনে একই রকম। ইয়াঙ্ক নিজেকে গরিলাদের অর্থাৎ পশুদের দলভুক্ত মনে করে। সে গরিলাটার খাঁচা খুলে তার সাথে বন্ধুর মতো কথা বলতে শুরু করে৷ এই সময় গরিলাটা তাকে আক্রমণ করে এবং মারাত্মক ভাবে আহত করে খাঁচার ভিতর ফেলে দেয় এবং ইয়াঙ্ক মারা যায়।
The Hairy Ape Characters in Bengali
Robert Yank smith : নাটকের protagonist. তার প্রকৃত নাম বব স্মিথ (Bob Smith). সে অনেক শক্তিশালী কিন্তু দেখতে কুৎসিত। তার জন্ম নিউইয়র্কে এবং সে সামুদ্রিক জাহাজে ফায়ারম্যানের কাজ করেন।সে জাহাজের বাকি শ্রমিকদের নেতা। তার মনে হয় উচ্চ পর্যায়ের মানুষরা তাদের কাজে ঠিক মত কদর করে না। তাই সে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর চেষ্টা করে।
Paddy : জাহাজের একজন বৃদ্ধ শ্রমিক। সে তাদের কাজে একঘেয়েমিতার বিষয়টা বুঝতে পারে এবং সে পুঁজিবাদী সমাজের স্তরবিন্যাস সম্পর্কেও সচেতন। তাকে যৌক্তিক আওয়াজের প্রতিক হিসেবে দেখা যেতে পারে।
Long : লং জাহাজের আরো একজন শ্রমিক। লংয়ের সাথে ইয়াঙ্ক ফিফথ এভিনিউ যায়। ফিফথ এভিনিউইতেই ইয়াঙ্ক উচ্চ শ্রেণীর মানুষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে।
Mildred Douglas : একজন ধনি ও উচ্চ সামাজিক পর্যায়ের মেয়ে। তার বয়স ২০ বছর। তার বাবার নাম মি. ডগলাস, যিনি ইস্পাত শিল্পের মালিক এবং জাহাজের মালিক। মিল্ড্রেড সমাজ সেবা করার ইচ্ছা পোষণ করে।মিল্ড্রেড ইয়াঙ্কে জাহাজে কাজ করতে দেখে অজ্ঞান হয়ে যায়। ইয়াঙ্কে দেখে ভয় পেয়ে সে তাকে নোংরা জানোয়ার (Filthy beast) বলে, যার ফলে পরবর্তীতে ইয়াঙ্কের মনে বিত্তবানদের প্রতি বিদ্রোহের জন্ম দেয়।
The secretary : ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কস আফ দি ওয়ার্ড নামের শ্রমিক সংগঠনের সেক্রেটারি। সে ভাবে ইয়াঙ্ক সরকারি গোয়েন্দা এবং তাকে শ্রমিক সংগঠন থেকে বের করে দেয়।
Thanks 👍👍
wc!
Very useful